Eagoler Chokh (2016)
Country: India
Genre: Crime, Mystery, Thriller
Director: Arindam Sil
Writter: Sirshendu Mukhopadhyay
Actors: Jaya Ahsan, Riya Banik, Anirban Bhattacharya
Duration: 1h 57min
Imdb: 7.2
গোয়েন্দা-থ্রিলার ঘরানার ছবি তৈরির ব্যাপারে যত পরিণত হচ্ছেন অরিন্দম, ততই তাঁর ছবি হয়ে উঠছে কৃষ্ণ থেকে কৃষ্ণতর৷ অপরাধ মনষ্কতার আরও-আরও অন্ধকার দিক তিনি এক্সপ্লোর করছেন প্রতিটি নতুন ছবিতে৷ ‘Eagoler Chokh (2016)‘ এমনই ‘ডার্ক’ ফিল্ম৷
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়-সৃষ্ট চরিত্র গোয়েন্দা শবর নিয়ে দ্বিতীয় কাহিনিচিত্র ‘ঈগলের চোখ’। পরিচালক অরিন্দম শীল শবর নিয়ে তাঁর প্রথম ছবি ‘এবার শবর’-এর মতোই টানটান করে বুনেছেন ‘ঈগলের চোখ’ ছবিটিকেও।
কাহিনী সংক্ষেপঃবিষাণ এবং তিন নারী। স্ত্রী শিবাঙ্গী, স্ত্রীর বান্ধবী নন্দিনী এবং জাহ্নবী। ছবির গল্প বিষাণ রায় (অনির্বাণ ভট্টাচার্য) এক ধনী, বোহিমিয়ন যুবক। বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে হইহল্লা করতে, কল গার্ল নিয়ে ফূর্তি করে, নেশা করেই তার অবসর জীবন কাটে। তার স্ত্রী শিবাঙ্গী (জয়া এহসান) সুগন্ধীর ব্যবসা করে, বন্ধু নন্দিনী (পায়েল সরকার) সাহায্য করে শিবাঙ্গীকে ব্যবসায়। নন্দিনী থাকেও শিবাঙ্গীর বাড়িতে।হঠাৎ একদিন বিষাণের অবর্তমানে মাঝরাত পেরিয়ে হাতে রিভলভার নিয়ে মুখোশ পরা দু’টো লোক ঢুকে পড়ছে রায় বাড়িতে৷ নন্দিনী (পায়েল সরকার) শব্দ পেয়ে বেরিয়ে এসে ছিল ঘর থেকে৷ দোতলার সিঁড়ির ল্যান্ডিংয়ের কাছে তাদের একজন গুলি করে তাকে৷ অন্যজন তখন ঢোকে শিবাঙ্গী (জয়া আহসান)-র ঘরে৷ আলমারি খুলে কিছু নেওয়ার চেষ্টা করছে সে, তখন বালিশের তলা থেকে পিস্তল বের করে গুলি ছোঁড়ে শিবাঙ্গী৷ লোকটার কাঁধে গুলি লাগে৷ ততক্ষণে অন্যজন এসে শিবাঙ্গীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়৷ মাথায় গুলি লাগে শিবাঙ্গীর৷ রক্তাক্ত অবস্থায় সে লুটিয়ে পড়ে থাকে বিছানায়৷ আততায়ীর গুলিতে খুন হয়ে যায় নন্দিনী, গুলিবিদ্ধ হয়ে কোমায় চলে যায় শিবাঙ্গী। খুন কে করল? বা করাল? কেন?— কাহিনি রহস্যের দিকে মোড় নেয়।আপাতভাবে এই যখন ক্রাইমের বাহ্যিক চেহারা, তখন তদন্তে আসছে লালবাজারের গোয়েন্দা শবর দাশগুন্ত (শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়)৷
বিশেষ কিছু দিকঃ
- চিত্রনাট্য, মেকিং ছবিটিকে উপভোগ্য করে তুলেছে। দু’-একটি ত্রুটি চোখে পড়ে, কিন্তু তা ছবির মূল সুর ব্যাহত করে না।
- গোটা ছবিটাই আপাদমস্তক টান-টান টেনশনে ভরপুর৷ আর এই টেনশনটা ধরে রেখেছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়৷ শাশ্বতর অভিনয় নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই, বারবার প্রমাণ করে দেন তাঁর দুর্দান্ত অভিনয়দক্ষতা।
- শবরের সঙ্গী নব-র ভূমিকায় শুভ্রজিত্ দত্ত একদম খাপে-খাপ৷ ছবির হিউমার অংশটি যে তাঁর কাঁধে ন্যস্ত সেটা তিনি বুঝে নিয়েছেন৷ আর অন্যান্য চরিত্রদের মধ্যে রিয়া বণিকের অভিনয় উল্লেখযোগ্য৷
- এই ধরনের সিনেমা যে ধরনের চিত্রগ্রহণ সম্পাদনার দাবি করে তা ছবিতে রয়েছে৷ আবহসঙ্গীতও বেশ মিশে রয়েছে জলের মধ্যে মাছের মতো৷
ঈগলের চোখ! যে চোখে আপাত-অদৃশ্য সব অসংগতি ধরা পরে এবং নিখুঁত যুক্তির তীক্ষ বর্ষাফলকে ছিন্ন হয় গহন রহস্যজাল!
হ্যাপি ওয়াচিং 😊😊😊