মধ্যরাতের নির্জনতায় বসে আমি,
চারপাশে ইট-পাথরের জঞ্জাল।
থমকে যাওয়া নিরবতায় ভেসে আসে-
ছুটে চলা যানবাহনের শব্দ।
আমি থেমে নেই!
এইতো নিঃশব্দে বয়ে চলছে-
তামাক পাতা পোড়ানোর ব্যস্ততা!
তবে এখানেই শেষ নয়,
মনের গলিতে তোমার মৃদু পায়ের-
বিচরণ নাড়া দিয়ে যায় প্রতিক্ষণেই।
কেননা আজকাল এ গলি ছাড়া
তোমার দেখা পাওয়া মুশকিল।
তাই এক মুহূর্ত তোমাকে এড়িয়ে-
যাবার সুযোগ নেই।
হোকনা বাস্তবতা ভিন্ন,
হোকনা তুমি অন্য গলির বাসিন্দা।
আমার মনের ফাঁকা গলিতে-
তোমার উঁকিঝুকি প্রচন্ড সুখ দেয় আমায়।
ঝিরিঝিরি বাতাসের দোলায় রাতের নগরীতে-
পাতাগুলো যেমন মিষ্টি আওয়াজ তুলে,
তেমনি আমার হৃদয় গভীরে তোমার বিচরণ-
আমায় নিয়ে যায় ভালো লাগার মহাসমুদ্রে ।
তোমার বাস্তবতা বা কল্পনার
কোথাও আমি নেই জানি।
তাই বলে তোমায় ভুলে থাকব!
এতটা স্বার্থপরও নই আমি।
কি হাসি পাচ্ছে খুব, তাইতো?
মন খুলে হাসো, প্রাণ ভরে হাসো,
আমি যে তোমার হাসিমাখা মুখটাকে-
প্রচন্ড ভালোবাসি।
জানা, হাসলে যখন তোমার বাম গালে
মায়াবী টোল পরে,
তখন আমি কেমন যেন হারিয়ে যাই।
আরে নাহ, পাগলামি করছি না,
সত্যিই এই হাসিটা আমাকে নতুন করে-
বাঁচতে শেখায় আবারও৷
কেন?
কেননা আমি যে ঐ হাসিটাই দেখতে চাই।
ভয় হয় জানোতো, মরে গেলে যদি,
হাসিটা আর দেখতে না পাই!
হ্যাঁ হ্যাঁ আমি জানি,
আমি জানি আমার জীবন-মৃত্যু নিয়ে তুমি একদমই ভাবোনা।
ভাবনার অন্য বিষয়ের কাছে এটা খুবই সামান্য।
তাতে কি,
আমি বেঁচে থাকতে তো আর-
তোমায় এ মনে কবর দিতে পারব না।
ঐযে সেদিন রাতে তোমায় উপহার দেওয়া চাঁদটা,
আজও আমার আকাশে আলো দেয়।
এখনো আমায় পর করে দেয়নি।
তাহলে আমি কি করে পারি বলো?
তোমায় পর করে দিতে!
তোমার স্মৃতিগুলো,
আমার মেঘলা আকাশে এক ফালি রোদ।
আমাবস্যার অন্ধকার রাতেও
জোসনা ভরা রুপোলি আলো।
থাকুক না বুকের বাঁ পাশ টায়,
এইতো আমি আছি ভালো।