🎬 সিনেমাঃ কাঠবিড়ালী
🇧🇩 দেশঃ বাংলাদেশ
🔰 ধরণঃ ড্রামা, রোমান্স, থ্রিলার
🔰 পরিচালকঃ নিয়ামুল মুক্তা
🔰 অভিনয়েঃ অর্চিতা স্পর্শিয়া,আসাদুজ্জামান আবীর, সাইদ জামান শাওন, শিল্পী সরকার অপু
🔰 দৈর্ঘ্যঃ ১ ঘন্টা ৫৫ মিনিট
🔰 আইএমডিবিঃ ৭.৭
বাংলাদেশের ঋতু বৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অত্যন্ত মোহনীয়। যদিও কালের বিবর্তনে আর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এখন আর সেই ষড় ঋতুর বাংলাদেশ নেই। তবে এখনো দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সেই অপরূপ গ্রাম বাংলার নৈসর্গিক রূপ দেখা যায়।
এত কিছু রেখে দেশের প্রকৃতি নিয়ে কেন এত কথা? বলছি।
কাঠবিড়ালী একটি ড্রামা থ্রিলার জনরার সিনেমা। তবে এই ড্রামা থ্রিলার জনরার সিনেমাটি সাধারণ গ্রাম বাংলার অপরূপ ও অসাধারণ এক গল্প এবং সিনেমাটোগ্রাফি দিয়ে নির্মিত।
ছবির নাম কেন ‘কাঠবিড়ালী’? উত্তরে পরিচালক বলেন, ‘কাঠবিড়ালী আমাদের খুব কাছের প্রাণী। গ্রামে মানুষ আর কাঠবিড়ালী পাশাপাশি বাস করে। দেখতেও খুব সুন্দর। কিন্তু ওদের ধরা যায় না। ঠিক যেন আমার সিনেমার চরিত্রগুলোর মতো।’
কাহিনী সংক্ষেপঃ পিতা-মাতা ও পরিবারহীন এক সহজ সরল ভালো মনের মানুষ হাসু। আত্মীয় বলতে আপন কেউ নেই এক বাল্যবন্ধু আনিস ছাড়া। তবে গ্রামের সবাইকে সে আপন করেই দেখে। তাদের বিপদে কিংবা প্রয়োজনে তার সর্বোচ্চ টুকু দিয়ে পাশে দাড়ায়।
কাজল নামে গ্রামের এক মেয়ের সাথে তার প্রণয় গড়ায় বিবাহে। অবশেষে হাসু তার স্ত্রী কাজলকে নিয়ে যখন সুখে দিন কাটাতে প্রস্তুত তখনি জীবন মোড় নেয় ভিন্ন দিকে!
ঘটনাপ্রবাহে এই মানুষগুলোর জীবন একটি খুনের সাথে জড়িয়ে পড়ে। শুরুতে খুব সহজ মনে হলেও সময়ের সাথে যতো গল্পের গভীরে যাওয়া যায় ততোই জটিলতা বাড়তে থাকে।
আর সেসব জানতে অবশ্যই সিনেমাটি দেখতে হবে।
বিশেষ ভালো লাগা-
📽 গল্প/চিত্রনাট্যঃ প্রথমেই যে কথাটি বলতে হয় তা হচ্ছে এর গল্প। কেননা একটি ভালো সিনেমা নির্মাণের পূর্বশর্ত হচ্ছে একটি ভালো গল্প/চিত্রনাট্য। যা এই সিনেমায় আমরা দেখতে পাই। সিনেমার শুরু এবং শেষ ২ টাই বেশ ভালো হয়েছে। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধের পর যখন রহস্য বাড়তে থাকে তখন সেটা সুন্দরভাবে ধরে রাখতে পেরেছে বলেই আমার মনে হয়েছে।
📽সিনেমাটোগ্রাফিঃ এর আগে মনপুরা, আয়নাবাজি, স্বপ্নজাল, টেলিভিশন সহ বেশ কিছু দেশীয় সিনেমায় আমরা চমৎকার সিনেমাটোগ্রাফি দেখেছি৷ কিন্তু কাঠবিড়ালী অবাক করেছে আরো অনেক বেশী। অসংখ্য ড্রোন শটের পাশাপাশি ক্যামেরার বিভিন্ন এঙ্গেলের কাজ মুগ্ধ করেছে আমাকে। দৃশ্যায়ন গুলো এতোটাই প্রাণবন্ত হয়েছে যে পরিবেশটা নিজেই অনুভব করতে পারছিলাম। এর চেয়ে বেশী আর কি বলব! পাঁচ দফায় ছবির শুটিং হয়েছে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার গজারমারা গ্রামে। পরিচালক নিজের গ্রামে, নিজের আর আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে প্রায় দুই বছর ধরে পাঁচ দফায় শুটিং করেছেন।
📽 সঙ্গীত/শব্দঃ সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমন চৌধুরী। শব্দ সম্পাদনা করেছেন রাশেদুজ্জামান সোহাগ ও রিপন নাথ। নিঃসন্দেহে তারা খুব সুন্দর কাজ উপহার দিয়েছেন। বিশেষ করে গানগুলো ছিল খুবই শ্রুতিমধুর ও মানানসই।
সবশেষে বলতে চাই, সবমিলিয়ে খুব সুন্দর প্রাণবন্ত একটি সিনেমা। তবে এটিকে অন্য ইন্ডাস্ট্রির সিনেমার সাথে তুলনা করে নয় বরং দেশীয় চলচিত্রের একটি নতুন মাইলফলক হিসেবে দেখুন।
কথা দিলাম ভালো লাগবে।
হ্যাপি ওয়াচিং 🙂